নিজস্ব প্রতিনিধি: সিউড়ি ইয়ং নাট্য সংস্থা আগামী ২০২১এর ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০ বছরে পদার্পণ করতে চলেছে।
সেই উপলক্ষে নানা কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে ইয়ং এর পক্ষ থেকে। তারই অঙ্গ হিসেবে গত ২০ ও ২১ নভেম্বর তিলপাড়া সরস্বতী শিশু মন্দির প্রাঙ্গণে ‘গাঁয়ের পানে, মাটির টানে’ শীর্ষক দুই দিনের একটি নাট্যোৎসবের আয়োজন করেছিল ইয়ং নাট্য সংস্থা।
এই উৎসবের উদ্বোধক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সেইসব মানুষ, যাঁরা করোনাকালীন এই কঠিন সময়ে নিজের জীবনকে বিপন্ন করে মানুষের সেবা করে গেছেন, তাদের মধ্যে অন্যতম ডাঃ অভিদীপ দে, নার্স স্বপ্না মণ্ডল, আশা কর্মী আরতি রায় ও রিতা পাল এবং স্বাস্থ্যকর্মী সোমনাথ ঘোষ প্রমূখ ব্যক্তিত্ব বর্গ। তাঁদেরকে সংস্থার তরফে কোভিড যোদ্ধা হিসেবে ‘গ্রামীণ রত্ন’ সম্মাননা প্রদান করা হয় ইয়ং এর পক্ষথেকে। এছাড়াও স্থানীয় দশ জন শিবপদ বাগদি (যাত্রা শিল্পী), সবিতা চক্রবর্তী (কীর্তন শিল্পী), চন্দ্রধর চক্রবর্তী ( ভাস্কর ), পলাশ চক্রবর্তী (মৃৎশিল্পী), সঞ্জয় দাস (নাট্য নির্দেশক), পূর্ণচন্দ্র দে (আবহ ও সংগীত শিল্পী), মনোজিৎ হাজরা (কৌতুক শিল্পী ও অভিনেতা) , প্রীতি কুমার লালা (সাহিত্যিক), মন্দিরা মিত্র (নৃত্যশিল্পী), সুব্রত চৌধুরী (নাট্যাভিনেতা) কৃতি শিল্পীকে ‘গ্রামীণ রত্ন’ সম্মানে ভূষিত করা হয়।

উৎসবের অংশ হিসাবে স্থানীয় প্রায় চল্লিশজন শিশু-কিশোরকে কর্মশালার মাধ্যমে শারীরিক, মানসিক, সাংস্কৃতিক ও সামাজিক মূল্যবোধ গড়ে তোলার বিভিন্ন থিয়েটার কেন্দ্রিক পাঠ দিলেন বিমল কুমার সোম, মেরিনা বানু, দেবাশীষ দত্ত, সৌমিত্র মুখোপাধ্যায়, বিপ্লব সেন, অনির্বাণ ঘোষ, শুকদেব কাহার, অন্বেষা ঘোষ, রাহুল চ্যাটার্জী, শুভশ্রী দাস, শুভজিৎ দাস, প্রসেনজিৎ মাল ও জিকো ব্যানার্জী।
কর্মশালার প্রশিক্ষক দেবাশীষ দত্তের তত্ত্বাবধানে শক্তিপদ চট্টোপাধ্যায়ের গল্প অবলম্বনে ‘গুল মাস্টার গোলা দা’ নামক একটি নাটক কর্মশালায় নির্মিত হয় যা অন্তিম সন্ধ্যায় পরিবেশিত হয়। নাট্য কর্মশালায় অংশগ্রহনকারীদের হাতে শংসাপত্র তুলে দেন নাট্য আকাদেমির সদস্য শ্রী মলয় ঘোষ।
প্রথম দিন সন্ধ্যায় মঞ্চস্থ হয় বীরভূমের আনন প্রযোজিত বাবুন চক্রবর্তী নির্দেশিত নাটক ‘বদন চাঁদ লগন চাঁদ’ ও দ্বিতীয় দিন মঞ্চস্থ হয় সাঁইথিয়া আসর নাট্যম প্রযোজিত বিজয় কুমার দাস নির্দেশিত ‘ভাদু কথা’।
ইয়ং নাট্য সংস্থার কুড়িবছরে পদার্পন উপলক্ষে আগামি এক বছর কুড়িটি গ্রামের পিছিয়ে পড়া ছেলেমেয়েদের নাট্য প্রশিক্ষণ ও গ্রামের কৃতি মানুষদের ‘গ্রামীণ রত্ন’ সম্মাননা প্রদান, নাট্য উৎসব এবং স্থানীয় প্রত্যন্ত গ্রামগুলিতে থিয়েটার চর্চা পৌঁছে দেবার কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে বলে জানালেন ইয়ং নাট্য সংস্থার সভাপতি শিউলি মুখার্জি ও সহ-সম্পাদক অনির্বাণ ঘোষ।