নিজস্ব প্রতিনিধি: নটসেনার প্রাণ পুরুষ সরোজ রায়কে স্মরণে ও মননে রেখে গত ১৩ থেকে ১৭ ডিসেম্বর তপন থিয়েটারে নটসেনা আয়োজন করেছিল চতুর্থ বর্ষ ‘সরোজ নাট্যমেলা’।
৬ টি জেলার ৬ টি নাটক নিয়ে অনুষ্ঠিত এই নাট্যমেলার প্রথম দিন ১৩ ডিসেম্বর ছিল ‘করোনা ক্রান্তিকালে থিয়েটার কর্মীর ভূমিকা এবং থিয়েটারের ভবিষ্যত’ শিরোনামে আলোচনা সভা। আলোচক রঞ্জন গঙ্গোপাধ্যায়, সুমনা চক্রবর্তী ও ভাস্কর সান্যাল এবং সঞ্চালক সুশান্ত মজুমদারে’র আলোচনা ও উপস্থাপনায় বিষয়টি সহজ ভাবে শ্রোতাদের বোধগম্য হয়।

আনুষ্ঠানিক ভাবে সরোজ নাট্যমেলার শুভ সূচনা হয় ১৪ ডিসেম্বর রাজ্য আকাদেমির সদস্য সচিব হৈমন্তী চট্টোপাধ্যায়, নাট্যজন মেঘনাদ ভট্টাচার্য্য, সমর মিত্র, সুব্রত ঘোষ, অনীশ ঘোষ ও ই. জেড. সি. সি.’র প্রোগ্রাম ডিরেক্টর অভিজিৎ চ্যাটার্জির উপস্থিতিতে। এদিন সন্ধ্যায় মঞ্চস্থ হয় বেহালা অনুদর্শী প্রযোজিত সুমনা চক্রবর্তীর নির্দেশনায় তার একক অভিনয়ের নাটক ‘একনারী কাদম্বরী’ এবং মনোরঞ্জন সেনে’র নির্দেশনায় দোমাহনী বাজার নাট্যসেনার হাঁসির নাটক ‘শুভারম্ভ’। ১৫ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় মঞস্থ হয় নীল বিদ্রোহের পটভূমিকায় নির্মিত ধীরাজ হাওলাদারের পরিচালনায় মছলন্দপুর ইমন মাইম সেন্টারের মূকাভিনয় ‘কৃষক আন্দোলন’। এবং উজ্জ্বল মুখোপাধ্যায়ে’র নির্দেশনায় বীরভূম সংস্কৃতি বাহিনীর প্রযোজনা ‘রাতকানা’। ১৬ ডিসেম্বর নাট্যমেলার শেষদিনে মঞ্চস্থ হয় সমীরন সমাদ্দারের নির্দেশনায় ব্যাণ্ডেল নান্দনিকের ‘বাবা আসবেন’। সবশেষে প্রসেনজিৎ নন্দীর নির্দেশনায় কৃষ্ণনগর সিঞ্চনের ‘অন্তহীন’ মঞ্চায়নের মধ্যদিয়ে সরোজ নাট্যমেলার সমাপ্তি ঘটে।