নিজস্ব প্রতিনিধি: কোভিড পরিস্থিতি আমাদের জীবনযাত্রার উপর প্রভাব ফেলেছে তবে সম্পুর্ণ রূপে স্তব্ধ করে দিতে পারেনি। ৩০ তম বর্ষপূর্তি উপলক্ষে গত ২ ও ৩ জানুয়ারি রাজডাঙ্গা দ্যোতক তপন থিয়েটারে ‘মুক্ত প্রাণ ৩’ শিরোনামে নাট্যোৎসবের আয়োজন করেছিল। ২ জানুয়ারি বিকালে সদ্য প্রয়াত উদীয়মান নাট্য শিল্পী প্রসেনজিৎ বর্ধনের স্মৃতির উদ্দেশে শ্রদ্ধাঘ্য নিবেদনের মধ্যদিয়ে উৎসবের উদ্বোধন হয়।

এদিন মঞ্চস্থ হয় ৫টি নাটক। জয়েশ ল’র নির্দেশনায় সরস্বতী নাট্যশালার ‘বিবকনামা’ ছিল উৎসবের প্রথম প্রযোজনা। এরপর একে একে মঞ্চস্থ হয় পার্থ বন্দ্যোপাধ্যায়ে’র নির্দেশনায় সাউথ কলকাতা মুভমেন্ট আর্ট প্রযোজনা ‘তবু বিহঙ্গ’। এরপর মঞ্চস্থ হয় সদ্য প্রয়াত উদীয়মান নাট্য শিল্পী প্রসেনজিৎ বর্ধন নির্দেশিত সংসপ্তক প্রযোজনা ‘কে কে কে’। শান্তনু দীক্ষিতে’র নির্দেশনায় রাজডাঙ্গা দ্যোতকের ‘গোধূলী লগ্ন’, সব শেষে ড:গৌরব দাসে’র নির্দেশনায় সন্তোষপুর অনুচিন্তনের ‘অকাল বোধন’ মঞ্চায়নের মধ্যদিয়ে প্রথম দিনের পর্ব শেষ হয়।

দ্বিতীয় দিন বিকালে সৌমিত বসু’র নির্দেশনায় রাজডাঙ্গা দ্যোতকের প্রযোজনা ‘বাইরের দরজা’ মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের শুরু হয়। এরপর একে একে মঞ্চস্থ হয় অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ে’র নির্দেশনায় সোনারপুর দৃশ্যম প্রযোজনা ‘সুন্দর’, এদিন মঞ্চে ‘শ্রী শম্ভু মিত্র স্মৃতি সম্মান ২০২১’ প্রদান করা হয় শ্রী গৌতম হালদারকে। তার হাতে স্মারক তুলে দেন শ্রী প্রকাশ ভট্টাচার্য। শুভাশীষ ভট্টাচার্যের নির্দেশনায় রাজডাঙ্গা দ্যোতকের ‘দ্বিখণ্ডীত’ মঞ্চায়নের মধ্যদিয়ে নাট্যোৎসবের সমাপ্তি ঘটে।
করোনার ভয়কে উপেক্ষা করে অনেক দর্শক এসেছিলেন নাটক উপভোগ করার জন্য।