নিজস্ব প্রতিনিধি: গত ১৩ থেকে ১৭ জানুয়ারি যাদবপুর নিরঞ্জন সদনে অনুষ্ঠিত হল সমস্বর শিল্পী সমন্বয়ে’র আয়োজনে ‘সমস্বর নাট্য উৎসব’। নিরঞ্জন সদন প্রেক্ষাগৃহে ১০ টি নাটক এবং বহিরঙ্গনে ৫ টি পথ নাটক ও ২টি শ্রুতি নাটক সহ নাটকের গান নিয়ে ছিল জমজমাট আয়োজন। ১৩ জানুয়ারি সমস্বর নাট্য উৎসবে’র উদ্বোধন করেন নাট্যব্যক্তিত্ব মেঘনাদ ভট্টাচার্য , অংশুমান ভৌমিক , রঙ্গন দত্তগুপ্ত ও কিংশুক রায় সহ বিশিষ্ট জনেরা। এদিন নাটকের গান পরিবেশন করেন স্বরাজ ভট্টাচার্য। বিভাব নাট্য একাডেমীর ২৫ বছর উপলক্ষে প্রকাশিত হয় বিভাব নাট্যপত্র। এদিন মঞ্চস্থ হয় হালিশহর ইউনিটি মালঞ্চে’র ‘বিশ্বাস’ এবং ইছাপুর আলেয়া’র ‘৬:১’।

১৪ জানুয়ারি বিকালে বহিরঙ্গনে ছিল মৃচ্ছকটিকে’র পথ নাটক ‘আমি একটি মেয়ে’ ও বারোমাসে’র শ্রুতি নাটক ‘অসহবস্থান’। মঞ্চে প্রদর্শিত হয় গোবরডাঙা নকশা’র ‘সুভা’ এবং নাট্যবিতানে’র ‘সামলে ধরুন’।
১৫ জানুয়ারি বহিরঙ্গনে টালিগঞ্জ নিত্যনাট্য’র ‘দাগ’ ও ঢাকুরিয়া নাট্যমূখে’র ‘অন্ধকারে দিন রাত্রি’ প্রযোজনা উপস্থাপিত হয়। এরপর প্রেক্ষাগৃহে বরানগর এবং নাট্যদল ‘এবং অরণ্যদেব’ ও বেলঘরিয়া অঙ্গন ‘শেষ বাহাদুর শাহ জাফর’ মঞ্চায়ন করে।
১৬ জানুয়ারি সমস্বর নাট্য উৎসবে বহিরঙ্গনে ছিল নবারুণ আর্ট থিয়েটারে’র ‘চোর’, নবকল্লোলে’র ‘ভাইরাস’ এবং বৈতালিকে’র শ্রুতি নাটক ‘সংসারশ্রম’ উপস্থাপনা। প্রেক্ষাগৃহে মঞ্চায়িত হয় ব্যান্ডেল আরোহী’র ‘ছেঁড়া ক্যানভাস’ ও বেলঘরিয়া এথিকে’র ‘লাইল্যাক তোমাকে’।

১৭ জানুয়ারি সমস্বর নাট্য উৎসবে’র শেষ দিনের বিকেলে এক নাট্য বিষয়ক আড্ডায় প্রায় ৫০ জন অংশনেন। এদিন প্রেক্ষাগৃহে মঞ্চস্থ হয় চন্দননগর যুগের যাত্রী’র ‘চাঁদ সদাগর’ এবং বিভাব নাট্য একাডেমী’র ‘সাইরেন’। উৎসবের বিভিন্ন দিনে অতিথি রূপে হাজির হয়ে ছিলেন হৈমন্তী চট্রোপাধ্যায়, ইন্দ্রজিৎ আইচ, পীযূষ পাল, রঞ্জন গঙ্গোপাধ্যায় ও ভদ্রা বসু সহ বিশিষ্ট জনেরা।
শতাধিক মানুষের কণ্ঠে ‘আগুনের পরশমণি ছোঁয়াও প্রাণে’ গানের মধ্য দিয়ে সমস্বর নাট্য উৎসবে’র সমাপ্তি ঘটে। এই অসাধারণ মুহূর্তে হয়ে বিভাব ঘোষণা করে পরবর্তী ‘সমস্বর নাট্য উৎসব’ অনুষ্ঠিত হবে নৈহাটি ঐক্যতান মঞ্চে আগামি ৯ থেকে ১৩ ফেব্রুয়ারি।
বি:দ্র: সমস্বর নাট্য উৎসব সম্পর্কে কমেন্ট বক্সে আপনার মতামত দিন।