নিজস্ব প্রতিনিধিঃ সঙ্গীত জগতের নক্ষত্র বললেও বোধ হয় কম বলা হবে। উস্তাদ জাকির হুসেনকে চেনেন না বা তাঁর নাম শোনেননি, এমন মানুষ খুবই কম। প্রয়াত তবলার সেই যাদুকর জাকির হুসেন। আমেরিকার সান ফ্রান্সিসকোর এক হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন তিনি। চিকিত্সা চলছিল আইসিইউতে। কিন্তু শেষরক্ষা হল না। (১৫ ডিসেম্বর) হৃদরোগ ও ফুসফুসজনিত অসুস্থতায় প্রয়াত হলেন তিনি। ৭৩ বছর বয়সী এই সংগীতশিল্পী, কিংবদন্তি তবলা শিল্পী ওস্তাদ আল্লাহ রাখার পুত্র, বেশ কিছু সময়ের জন্য অসুস্থ ছিলেন। যে কারণে তাঁর আসন্ন কয়েকটি কনসার্টও বাতিল করা হয়েছিল।
১৯৫১ সালের ৯ মার্চ মুম্বইয়ের মাহিমে তবলা বাদক, আল্লা রাখা এবং ববি বেগমের ঘরে জন্মগ্রহণ করা জাকির হুসেন খুব অল্প বয়সেই তবলা বাজানোর প্রতি ঝোঁক পোষণ করেছিলেন। জাকির হুসেন মাত্র ৩ বছর বয়সে তাঁর বাবার কাছ থেকে মৃদং (একটি শাস্ত্রীয় তালবাদ্য বাদ্যযন্ত্র) বাজানো শিখেছিলেন এবং ১২ বছর বয়সে কনসার্টে পারফর্ম করতে শুরু করেন। অসাধারণ প্রতিভার কারণে পদ্মভূষণ এবং পদ্মশ্রী এবং সংগীত নাটক আকাদেমি পুরস্কার পেয়েছেন এই কিংবদন্তি শিল্পী। ভারতীয় শাস্ত্রীয় সংগীতে অসাধারণ অবদানের জন্য বিশ্বব্যাপী খ্যাতিমান ওস্তাদ জাকির হুসেন এই বছর ৩টি গ্র্যামি অ্যাওয়ার্ড জিতেছিলেন। হুসেন সাতটি গ্র্যামি অ্যাওয়ার্ডের মনোনয়ন পেয়েছিলেন। চলতি বছরের শুরুর দিকে মুম্বইয়ে ওস্তাদ গুলাম মুস্তাফা খান পুরস্কারও পেয়েছিলেন তিনি।
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় জাকির হুসেনের মৃত্যু নিয়ে টুইট করেছে। লেখা হয়, ‘আজ গোটা বিশ্ব হারাল এক প্রকৃত সংগীতজ্ঞকে। বিশ্ব সংগীতকে তিনি যে ছাপ ছেড়ে গিয়েছেন, তা চিরস্মরণীয়’।