নিজস্ব প্রতিনিধি: মূকাভিনয় বিশ্বের প্রাচীনতম শিল্প হলেও আজও আম- দর্শকদের কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠতে পারেনি। তবুও কিছু অভিনেতা মূকাভিনয় নিয়ে লড়াই করে চলেছেন।
গত ১২ ও ১৩ ডিসেম্বর আগরপাড়া সোমা মাইম থিয়েটারের উদ্যোগে আগরপাড়াতে সোমা মাইম থিয়েটারের নিজস্ব থিয়েটার স্পেস ‘এস.এম.টি. এরিনা’ তে অনুষ্ঠিত হলো ‘বিশ্ববঙ্গ মূকাভিনয় উৎসব’।
১২ ডিসেম্বর বিশ্ববাংলা উৎসবের উদ্বোধক ছিলেন পদ্মশ্রী নিরঞ্জন গোস্বামী, ন্যাশনাল স্কুল অফ্ ড্রামার প্রফেসর সৌতি চক্রবর্তী, মূকাভিনেতা রতন চক্রবর্তী, মুকুল দেব, বৈদ্যনাথ চক্রবর্তী, রুপায়ন চৌধুরী, রনেণ চক্রবর্তী, অসিত আচারিয়া, শাশ্বত বিশ্বাস ও সব্যসাচী দত্ত সহ একাধিক মূকাভিনেতা। এদিন উৎসবে এসেছিলেন পূর্বাঞ্চল সংস্কৃতি কেন্দ্রের ডিরেক্টর গৌরি বসু ও প্রোগ্রামিং ডিরেক্টর অভিজিৎ চট্টোপাধ্যায়।

সোমা মাইম থিয়েটারের কলাকুশলীদের নৃত্যের মধ্যদিয়ে প্রথম দিনের অনুষ্ঠানের শুরু হয়। এরপর একে একে রনেণ চক্রবর্তীর পরিচালনায় মিমিক, বৈদ্যনাথ চক্রবর্তীর পরিচালনায় মিনি মাইম মাইন, মুকুল দেবের পরিচালনায় মূক একাডেমি, রূপায়ন চৌধুরীর পরিচালনায় নির্বাক, রতন চক্রবর্তীর পরিচালনায় রংতাল থিয়েটার, সোমা দাসের পরিচালনায় সোমা মাইম থিয়েটার ও শাশ্বত বিশ্বাস একক মূকাভিনয় উপস্থাপন করেন।
উৎসবের দ্বিতীয় দিনের শুরুতে নৃত্য পরিবেশন করে সোমা মাইম থিয়েটারের কলাকুশলীরা। এরপর নিরঞ্জন গোস্বামীর পরিচালনায় ইণ্ডিয়ান মাইম থিয়েটার, চন্দ্রকান্ত শিলারির পরিচালনায় ঠাকুরনগর মাইম একাডেমি, ধীরাজ হাওলাদারের পরিচালনায় ইমন মাইম সেন্টার, অনিরুদ্ধ দাসের পরিচালনায় গোবরডাঙা অবন, সব্যসাচী দত্তের পরিচালনায় সৃষ্টি মাইম, দেবাশীষ চক্রবর্তীর পরিচালনায় নাট্যনীর, জগদীশ ঘরামীর পরিচালনায় ঠাকুরনগর থিয়েট্রিক্স, ও ধনপতি মণ্ডলের পরিচালনায় নিশব্দ থিয়েটার মূকাভিনয় পরিবেশ করে।
সোমা মাইম থিয়েটার দুদিনের বিশ্ববঙ্গ মূকাভিনয় উৎসবের পাশাপাশি ১৪ থেকে ২০ ডিসেম্বর এস.এম.টি এরিনা তে ‘থিয়েটারের বিবর্তন’ (EVOLUTION OF THEATRE) শিরোনামে নাট্য কর্মশালার আয়োজন করেছে। কর্মশালায় প্রশিক্ষণ দিচ্ছেন ন্যাশনাল স্কুল অফ্ ড্রামার প্রফেসর সৌতি চক্রবর্তী।