নিজস্ব প্রতিনিধি: করোনার সতর্কতা বিধি মেনে গত ১৮ থেকে ২১ ডিসেম্বর গোবরডাঙ্গা রঙ্গভূমির আয়োজনে শিল্পায়ন স্টুডিও থিয়েটার হলে অনুষ্ঠিত হল ‘দ্বিতীয় রঙ্গ উৎসব’।
এবছর যে সকল মানুষ না ফেরার দেশে চলে গেছেন তাঁদের স্মরণে ‘শ্রদ্ধায় স্মরণে’ অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে উৎসবের সূচনা হয়। এরপর প্রদীপ জ্বালিয়ে রঙ্গ উৎসবের উদ্বোধন করেন মাননীয় অমিত ব্যানার্জি মহাশয়। এছাড়াও মঞ্চে ছিলেন অনিশ ঘোষ, জিতেন্দ্র সিং, উমা ব্যানার্জি, আশিস দাস, অভীক ভট্টাচার্য ও আশিস চ্যাটার্জি সহ প্রমুখ ব্যক্তি।
উৎসবের প্রথমদিন মঞ্চস্থ হয় দুটি নাটক। প্রথমে মঞ্চস্থ হয় বিধান হালদারের নির্দেশনায় রঙ্গভূমির ‘শাস্তি’। অতিথি ও দর্শকরা নাটকটির বহুল প্রশংসা করেন। এরপর মঞ্চস্থ হয় তমাল সেনের নির্দেশনায় মধ্যমগ্রাম নটমনের ‘মন কইন্যার ব্রত’।
দ্বিতীয় দিন সন্ধ্যায় মঞ্চস্থ হয় প্রিয়াঙ্ক রায়ের নির্দেশনায় দক্ষিণেশ্বর সংকেতের ‘রূপাই সাজু কথা’ ও প্রণয় বিশ্বাসের নির্দেশনায় গাঁড়াপোতা শপ্তকের ‘নিরাশ্রয়’ এবং উর্ণাবতী সেনের নির্দেশনায় থিয়েটার ফোরামের ‘পার্শ্বচরিত্র’। তৃতীয় দিন সন্ধ্যায় প্রথমে মঞ্চস্থ হয় গোবরডাঙ্গা নকসার প্রযোজনায় ভূমিসুতা দাসের নির্দেশনায় ও একক অভিনয়ের নাটক ‘ইয়েস’ ও পরিমল মিস্ত্রীর নির্দেশনায় হালিশহর মাটির প্রযোজনা ‘কাঁচ’। ২১ডিসেম্বর উৎসবের শেষ দিন প্রদর্শিত হয় বাউল প্রেমে পাগল ও রং তুলির ছন্দ।অংশগ্রহণে ছিলেন বিপ্লব, নন্দিনী,শম্ভু। এরপর ধীরাজ হাওলাদারের পরিচালনায় ইমন মাইম সেন্টার দুটি মূকাভিনয় মঞ্চস্থ করে। সব শেষে স্বরম উপাধ্যায়ের নির্দেশনায় পাটনা ডিভাইন থিয়েটার মঞ্চস্থ করে নাটক ‘পপকর্ণ’।
রঙ্গভূমির নির্দেশক বিধান হালদারের কথায় বড়দের আশীর্বাদ, শিল্পায়ন স্টুডিও থিয়েটারের সদস্যদের সাহায্য ও দলের সবার সহযোগিতা ছাড়া এই উৎসব সুসম্পন্ন করা সম্ভব হতোনা। তিনি বলেন এভাবেই থিয়েটারকে এগিয়ে নিয়ে যাবেন নিজেদের কাজের মধ্য দিয়ে।