নিজস্ব প্রতিনিধিঃ সম্প্রতি ১ থেকে ৫ ফেব্রুয়ারি নৈহাটি ঐকতান মঞ্চে নৈহাটি রঙ্গসেণার আয়োজনে অনুষ্ঠিত হল সপ্তম রঙ্গোৎসব এর ২ পর্ব।
সম্প্রতি প্রয়াতা নাট্য ব্যক্তিত্ব ও সংগীত শিল্পী দীপা ব্রহ্মর প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে হলের নামাঙ্কন করা হয় দীপা ব্রহ্ম নগরী এবং সদ্যপ্রয়াত নাট্যমোদী বিশ্বজিৎ দের স্মরণে মঞ্চের নামাংকন করা হয় বিশ্বজিৎ দে মঞ্চ। দুইজনের প্রতিকৃতিতে মাল্যদান ও নীরবতা পালন করে, প্রদীপ প্রজ্জ্বলনের মধ্য দিয়ে নাট্যোৎসবের উদ্বোধন করেন বিশিষ্ট নাট্য ব্যক্তিত্ব তীর্থঙ্কর চন্দ এবং অভিনেতা বাবলু চৌধুরী। নাট্যোৎসবে নাটক পরিবেশন করেন শিলিগুড়ি ঋত্বিক, নৈহাটি রঙ্গসেণা, হালিশহর ইউনিটি মালঞ্চ, আদি সপ্তগ্রাম বিবেকানন্দ আশ্রম, কল্যাণী সৌপ্তিক, নৈহাটি বঙ্কিম স্মৃতিসংঘ, বেলঘড়িয়া মধুবন নাট্যসংস্থা, বর্ধমান কুশীলব, চুঁচুড়া যৌথিক, কাঁচরাপাড়া ফিনিক ও ন্যাজাট নাট্য উৎসব কমিটি। রঙ্গ নাট্য সম্মান ২০২৪ তুলে দেওয়া হয় বর্ষিয়ান অভিনেত্রী শ্রীমতি স্বপ্না সেন ভট্টাচার্যকে। উৎসব আরও সমৃদ্ধ হয় তিনটি মনমুগ্ধকর নৃত্যানুষ্ঠানের মাধ্যমে। পরিবেশন করেন ছন্দের ডালি, একক নৃত্য অনুপ মন্ডল ও মুক্তধারা আশ্রমের শিশু শিল্পীরা। একক সংগীত পরিবেশন করেন দেবব্রত ঘোষ ও লোকগীতি পরিবেশন করেন তাসের দেশ। ‘নাটক নির্মাণ : দর্শক ও অভিনেতার সম্পর্ক’ বিষয়ক নাট্য সেমিনারে – গৌতম দে সরকার এর সঞ্চালনায় বক্তব্য পেশ করেন বিশিষ্ট নাট্য ব্যক্তিত্ব সুনীতি মালাকার ও নাট্য গবেষক ড. অপূর্ব দে।
রঙ্গসেণার সমস্ত নাট্যকর্মীদের আন্তরিক উদ্যোগে বিশেষকরে ধ্রুপদ ঘোষ এবং দীপ ভৌমিক সুযোগ্য নেতৃত্বে নাট্য উৎসব সার্বিক সুন্দর হয়ে ওঠে। নৈহাটি সংলগ্ন অঞ্চলের নাট্যমোদী দর্শকদের বিপুল উপস্থিতি উৎসবকে সফল করে তোলে।