নিজস্ব প্রতিনিধি: গত ৪ থেকে ৬ ডিসেম্বর সাঁইথিয়া আসরনাট্যম পশ্চিমবঙ্গ নাট্য আকাদেমির আর্থিক সহযোগিতায় আয়োজন করেছিল তিনদিনের নাট্য উৎসব। উৎসবে বীরভূমের ছটি নাট্যদলের পাশাপাশি আসরনাট্যম পরিবেশিত নাটক এবং শ্রুতিনাটক ছিল। প্রথম সন্ধ্যায় স্বপনবুড়ো মঞ্চে নীহার স্মৃতি নাট্য উৎসবের উদ্বোধন করেন পুরপ্রশাসক বিপ্লব দত্ত। উপস্থিত ছিলেন নাট্য আকাদেমির সদস্য মলয় ঘোষ সহ নাট্যজন উজ্জ্বল মুখোপাধ্যায়, নির্মল হাজরা, প্রদীপ কবিরাজ ও ভাস্কর কয়ড়ি।প্রয়াত অভিনেতা সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনের পরে শুরু হয় উৎসব।আসরনাট্যমে’র পক্ষে স্বাগত ভাষণে বিজয়কুমার দাস বলেন, করোনা আবহের কারণে সীমিত পরিসরে জেলার দল নিয়ে ছোট নাটক, অঙ্গণ নাটক, শ্রুতিনাটক, একক নাটক, অঙ্গণ নাটক দিয়ে সাজানো হয়েছে এবারের উৎসব।

আসরনাট্যম পরিবেশিত শ্রুতিনাটক দিয়ে উৎসবের সূচনা হয়।এরপর মলয় ঘোষে’র নির্দেশনায় বোলপুর ইলোরা পরিবেশন করে ‘পাশ ফেল’, নির্মল হাজরা’র নির্দেশনায় সিউড়ি ইয়ং নাট্যসংস্থা পরিবেশন করে ‘আলোর পথে’ ও উজ্জ্বল মুখোপাধ্যায়ে’র নির্দেশনায় বীরভূম সংস্কৃতি বাহিনী পরিবেশন করে ‘রসকলি’।
দ্বিতীয় সন্ধ্যায় ‘অতিমারি ও থিয়েটার’ বিষয়ক আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন সুবিনয় দাস, প্রিয়ব্রত প্রামাণিক ও বিজয়কুমার দাস। এরপর মঞ্চস্থ হয় সুবিনয় দাস নির্দেশিত সিউড়ি থিয়েটার অভিযানের ‘তড়িতা কিছু বলবে’, রামপুরহাট প্রবাহনাট্যম পরিবেশন করে প্রিয়ব্রত প্রামাণিক নির্দেশিত অণুনাটক ‘বুমেরাং’। সাঁইথিয়া আসরনাট্যম পরিবেশন করে লিপিকা সরকার পরিচালিত অভিনেত্রীদের দ্বারা অভিনীত নাটক ‘যে ফুল না ফুটিতে’। এছাড়াও ছিল আসরনাট্যমে’র ‘আর এক নিরুপমা’ শ্রুতিনাটক।

শেষ সন্ধ্যার প্রথমে মঞ্চস্থ হয় সাঁইথিয়া পাড়ি পরিবেশিত রাহুল চ্যাটার্জী নির্দেশিত নাটক ‘মুক্ত কথা’। এরপর আসরনাট্যম মঞ্চস্থ করে বিজয়কুমার দাসের পরিচালনায় ‘মহাবিদ্যা’ ও ‘বিনোদিনীর কথা’। শেষে বাদল সরকারের ‘মিছিল’ নাটকের মধ্যদিয়ে উৎসবের সমাপ্তি ঘটে।